ঢাকা 4:13 pm, Wednesday, 18 December 2024

ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার ধারণায় গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূতের

Reporter Name
  • সর্বশেষ হালনাগাদ : 05:59:51 am, Saturday, 30 November 2024
  • / 529 Read Count

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহে নারী, ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার এবং কর্মসংস্থান ও সামাজিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা প্রবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক।

সম্প্রতি ইতালির রোমে ইফাদের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে সংস্থার প্রেসিডেন্ট ড. আলভারো ল্যারিওর সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ইফাদের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারী ও যুব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনে সহায়ক হবে। রাষ্ট্রদূত টেকসই গ্রামীণ কৃষি অবকাঠামো বিনির্মাণ, কৃষি পণ্যের সুষম ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সামাজিক ব্যবসার ধারণা ইফাদের কর্ম পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে ইফাদ বাংলাদেশের টেকসই কৃষি বিনির্মাণে কাজ করছে এবং দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশসমূহের একটি হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, সহনশীল জাত উদ্ভাবন এবং টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে ‘জলবায়ু তহবিল’ থেকে অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাসমূহ থেকে অর্থায়নে অধিকতর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। তিনি বাংলাদেশে কৃষির পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ইফাদের সহজ শর্তে ঋণ এবং অনুদান বৃদ্ধির অনুরোধ করেন।

ইফাদ প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে সংস্থার সব কার্যক্রমে বাংলাদেশের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। ড. ল্যারিও বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্জিত সাফল্যসহ দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপ এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রকল্পসমূহের প্রশংসা করেন। প্রেসিডেন্ট কৃষি খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রেক্ষিতে ইফাদ হতে প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন মর্মে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।

শেয়ার করুন

ট্রাগস :

ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার ধারণায় গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূতের

সর্বশেষ হালনাগাদ : 05:59:51 am, Saturday, 30 November 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহে নারী, ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার এবং কর্মসংস্থান ও সামাজিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা প্রবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক।

সম্প্রতি ইতালির রোমে ইফাদের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে সংস্থার প্রেসিডেন্ট ড. আলভারো ল্যারিওর সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ইফাদের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারী ও যুব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনে সহায়ক হবে। রাষ্ট্রদূত টেকসই গ্রামীণ কৃষি অবকাঠামো বিনির্মাণ, কৃষি পণ্যের সুষম ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সামাজিক ব্যবসার ধারণা ইফাদের কর্ম পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে ইফাদ বাংলাদেশের টেকসই কৃষি বিনির্মাণে কাজ করছে এবং দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশসমূহের একটি হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, সহনশীল জাত উদ্ভাবন এবং টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে ‘জলবায়ু তহবিল’ থেকে অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাসমূহ থেকে অর্থায়নে অধিকতর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। তিনি বাংলাদেশে কৃষির পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ইফাদের সহজ শর্তে ঋণ এবং অনুদান বৃদ্ধির অনুরোধ করেন।

ইফাদ প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে সংস্থার সব কার্যক্রমে বাংলাদেশের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। ড. ল্যারিও বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্জিত সাফল্যসহ দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপ এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রকল্পসমূহের প্রশংসা করেন। প্রেসিডেন্ট কৃষি খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রেক্ষিতে ইফাদ হতে প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন মর্মে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।